পটুয়াখালী-২ আসন থেকে আ’লীগ ৮বার বিজয়ী হলেও মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হননি কেউ

পটুয়াখালী-২ আসন থেকে আ’লীগ ৮বার  বিজয়ী হলেও মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হননি কেউ

হতাশাগ্রস্থ তৃনমূল আ’লীগ নেতা কর্মীরা

পটুয়াখালী-২ আসন থেকে আ’লীগ ৮বার  বিজয়ী হলেও মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হননি কেউ

এ.এফ.এম রিয়াজ, বাউফল(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালী-২ আসন থেকে আওয়ামালীগ ৮বার জয় লাভ করলেও এই আসন থেকে নির্বাচিত কোনো সাংসদকে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য করা হয়নি। প্রতিবারই মন্ত্রীত্বের আশায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করলেও মন্ত্রীত্ব না পাওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতা কর্মী ও সাধারন জনগনের মধ্যে।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সব সরকারের আমলেই পটুয়ায়াখালী জেলা থেকে কেউ না কেউ মন্ত্রী পরিষদে ঠাই পেয়ে আসলেও মন্ত্রীত্বের সন্মান থেকে সব সময়ই বঞ্চিত আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে খ্যাত পটুয়াখালী-২ আসনটি।
১৯৮৮, ২০০১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী নির্বাচন ছাড়া সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছে এই জনপদের সাধারন ভোটার গন। এর মধ্যে অওয়ামীলীগ চার বার সরকার গঠন করেছে। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনের পর মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হিসেবে এই জনপদ থেকে নির্বাচিত জন প্রতিনিধি আসম ফিরোজকে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হিসেবে অন্তরর্ভূক্ত না করায়  চলছে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনা ।
পটুয়াখালী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে যে কয়জন রাজনীতিবিদ দায়িত্ব পালন করেন, জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট থাকাকালীর সময়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষাবিদ আ. বাতেন তালুকদার। এরশাদ সরকারের আমলে কৃষি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এম. মুনায়েম। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের সময় ধর্ম, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এম.কেরামত আলী। ১৯৯৬ সালে পটুয়াখালী-৩ আসনের (গলাচিপা ও দশমিনা) এমপি আ.খ.ম. জাহাঙ্গীর হোসাইন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে পটুয়াখালী-১ আসনের এমপি এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে পটুয়াখালী-১ আসনের এমপি এ্যাড. শাহজাহান মিয়াকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এবং পটুয়াখালী-৪ আসনের এমপি মাহাবুবুর রহমান পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দূর্ভাগ্যজনক হলেও প্রতিবারই বঞ্চিত হয়েছে পটুয়াখালী-২ আসনটি।
পটুয়াখালী জেলা সাবেক  মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল হালিম বলেন, “বাউফলের  জনগন বঙ্গবন্ধু কন্যার উপর আস্থা রেখে বারবার নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে  আ.স.ম ফিরোজকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠালেও অদৃশ্য কারনে আমরা হতাশ হয়েছি। আশা করছি তিনি এবার আমাদেরকে হতাশ করবেন না।”।
বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, “বাউফল উপজেলার জনগনের চেয়ে দুর্ভাগা আরও কোনো উপজেলা বাংলাদেশে আছে কিনা আমার জানা নেই, বার বার নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীকে সংসদে পঠিয়েছি। আমাদের মূল্যায়ন সংসদ সদস্য পর্যন্তই সীমাদ্ধ। আশা করছি আমাদের নেত্রী এ বিষয়ে এবার আমাদের আর হতাশ করবেন না।”।  
বাউফল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আবুল কালাম খান “আর কতবার নৌকায় ভোট দিলে মূল্যায়িত হবে বাউফলের জনগন ?        
এমন আশা আর হতাশার কথা বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের মুখে মুখে ফিরছে। মন্ত্রী পরিষদে রদ বদলের খবরে তৃনমূল নেতা কর্মীরা আশা করছেন এবার নিশ্চই আওয়ামীলীগের সভানেত্রী তাদের দাবী বিবেচনা করবেন।